গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি ও অকৃষি উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। আর প্রকল্পের আওতা হবে ৮টি বিভাগে ৪৮টি জেলায়। আর উপজেলার সংখ্যা হচ্ছে ২২০টি। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে এই প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ চলতি অর্থবছরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, এই প্রকল্পটি হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়। এর আগে এই প্রকল্পের কাজ হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, কৃষি ও অকৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা। বিশেষ করে দরিদ্র নারী ও পুরুষদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সক্রিয় সংগঠন সৃষ্টি করা। উপকারভোগীদের সচেতনতা ও উপযুক্ত জীবিকায়নের মাধ্যমে আয়বর্ধন সক্ষমতা উন্নয়ন। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে করোনার কারণে বিদেশ ফেরত কর্মহীন শ্রমিকদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণোত্তর পুনর্বাসন করা হবে বলে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে। এ ছাড়া সুফলভোগী উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে বিপণন সংযোগ স্থাপন করা। যেন ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যায়। জানা গেছে, ২২০টি উপজেলার বিদ্যমান সমিতিসহ ২৩ হাজার ৩৩১টি পল্লী উন্নয়ন দল গঠন করা হবে। ৭ লাখ সদস্য রূপান্তর ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পভুক্ত করা হবে। যার মধ্যে ৮০ শতাংশ থাকবে নারী। ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান পুঁজি বাড়ানো হবে। ৭ লাখ মানুষকে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। যারা করোনার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত এসেছে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও উদ্যোক্তা ঋণ বিতরণ করা হবে। একই সঙ্গে ঋণের মাধ্যমে ৭৫ হাজার ৯শ জনকে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা হবে। তাদের উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের একটি সবচেয়ে বড় প্রকল্প।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS